সম্ভাবনাময় পর্যটন- ২য় পর্ব

সম্ভাবনাময় পর্যটন- ২য় পর্ব

পর্যটকদের উপহার হচ্ছে পর্যটন শিল্পের দর্শনীয় স্থান    
মুহা: সাইফুল ইসলাম

বাংলাদেশে পর্যটকদের উপহার দেবার মতো প্রচুর আকর্ষনীয় সমুদ্র সৈকত হ্রদ, পাহাড়, বন্যাপ্রানী, আবহামান গ্রামীণ জীবন, উপজাতীয় জীবনধারা, প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শণ ঐতিহাসিক কীর্তি, লোককাহিনী হস্তশিল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধর্মীয় কৃষ্টি, কবি গান, বাউল গান, যাত্রা গান, পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া, জারি গান, মুর্শিদী, মারফতি, লালন গীতি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে পর্যটন আকর্ষণকে বিশ্লেষন করলে যে সকল প্রধান আকর্ষণীয় বিষয় সমূহ পাওয়া যায় তা হলো প্রাকৃতিক পর্যটন: প্রকৃতির লীলা ও সৌন্দর্য এবং অনুপম পরিবেশ স্বাস্থ্য রক্ষা, নতুন জনগোষ্ঠীর সাথে সাক্ষাৎ শহরে যান্ত্রিক জীবনপ্রবাহ থেকে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ ইত্যাদি প্রাকৃতিক পর্যটনের অর্ন্তভ’ক্ত। এছাড়া পর্যটন বোর্ড ৭৮০ টি পর্যটন স্পটও চি‎ি‎হ্ণত করেছে।

তৃণমূল সাংবাদিকতার স্খীকৃতি স্বরুপ একাধিক জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত মুহা: সাইফুল ইসলাম লেখা ‘সম্ভাবনাময় পর্যটন’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে ও ২য় পর্ব হচ্ছে, পর্যটকদের উপহার দেবার মতো পর্যটন শিল্পে দর্শনীয় স্থান

আনন্দ ভ্রমণের মাধ্যমে রোমাঞ্চকর অনুভূতি অর্জন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ আবিস্কারের নেশায় ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশে নানা অঞ্চল আকর্ষণীয় হয়ে রয়েছে। সুন্দরবনের বিস্ত্রীর্ণ এলাকা, বিচিত্র বন্য প্রানী, রাঙ্গামাটির কৃত্রিম হ্রদ মৎস্য শিকার বিভিন্ন জলক্রীড়া, পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকায় ট্রেকিং হাইকিং ইত্যাদি সুযোগ এই শ্রেনীর পর্যনের অর্ন্তভ’ক্ত।
ঐতিহাসিক প্রতœতাত্তি¡ক স্থান দেশ ও জাতির গৌরব এবং ঐতিহ্যের বাহক পরিদর্শন অথবা শিক্ষামূলক ভ্রমণ সাংস্কৃতিক পর্যটনের অর্ন্তভুক্ত। মহাস্থানগড়, পাহারপুর, ঢাকার লালবাগ দুর্গ. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, জাতীয় যাদুঘর রাজশাহীর বরেন্দ্র যাদুঘর জাতীয় জীবনধারা এবং সর্বোপরি আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবন ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পর্যটনের উপাদান হিসাবে বিবেচিত।
ধর্মীয় অনুভুতিতে আবেগতারিত হয়ে সাধারনত এ ধরনের পর্যটনকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে থাকেন। ধর্মীয় আকর্ষনীয় স্থানসমূহের মধ্যে বাগেরহাট ষাট গম্ভুজ মসজিদ, তারা মসজিদ, কক্সবাজার রামু মন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দির, আর্মেনিযাম চার্চ, চট্রগ্রামের মসজিদ বোস্তামির দরগাহ, সিলেটের শাহজালাল (রঃ) দরগাহ রামুক্রঞ্চ মিশন, চন্দ্রনাথ ধাম, ধামরাইর যশোমাধব রথ, লাঙ্গলবন্ধ মাধবকুভ বারদী শ্রী শ্রী লোকনাথ আশ্রম, ঢাকার কমলাপুর বৌদ্ধ বিহার ইত্যাদি স্থান উল্লেযোগ্য। ধর্মীয় অনুভুতির সাথে প্রতœতাত্তি¡ক নির্দশনকারী স্থাণসমূহ যেমন পাহারপুর, ময়নামতি ইত্যাদিও পর্যটকদের আকর্ষন করে।

সবুজ শ্যামলীমায় ঘেরা অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাক্ষেত্র বাংলাদেশ। পর্যটকদের উপহার দেবার মতো প্রচুর আকর্ষনীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সমুদ্র সৈকত হ্রদ, পাহাড়, মেলা, বন্যাপ্রানী, আবহামান গ্রামীণ জীবন, উপজাতীয় জীবনধারা, প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শণ, ঐতিহাসিক কীর্তি, লোককাহিনী, হস্তশিল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধর্মীয় কৃষ্টি, কবি গান, বাউল গান, যাত্রা গান, পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া, জারি গান, মুর্শিদী, মারফতি, লালন গীতির উল্লেখযোগ্য। এদেশের শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলা পর্যটকদের আনন্দিত ও আলোড়িত করছে।  গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র নদীমাতৃক সমাজ ব্যবস্থা এবং আধ্যাতিœকতা ও কম আকর্ষন নয়। দিন দিন এসব পর্যটন সম্পদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। পর্যটন হলো ভ্রমণ এবং ভ্রমনকারীর মধ্যে সর্ম্পকের একটি সমন্বিত রুপ। এদেশের সবুজ শ্যামল ¯িœগ্ধ প্রকৃতি আর মানুষের বন্ধুস্বলভ আচরণ ও আতিথেয়তা যুগযুগ ধরে পর্যটকদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।